ত দো গে ন গি র তে ভৌতিক কবিতা বিষয় মানুষকে বড় বস্তু করে তোলে। মানুষ গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে চায়, সমাজে, পত্রিকায়। আর গ্রহণযোগ্য বস্তু তাই, যা সংজ্ঞায়িত, আপাদমস্তক, জাতে নিরাপদ। ফলে বিষয়ী মানুষকে, নিজেকে আয়নায় দেখতে হয় বারবার—সংজ্ঞার সাথে, নিদেন পপুলার ধারণার সঙ্গে তার মিল আছে কি-না—মাথার টাকটি, পকেটের চিরুনি; দেখা পড়ে। অথচ তর্জনী যেখানে মধ্যমার সঙ্গে কথা বলে, সেখানে নিকোটিন, কালচে হলুদ ছোপ — সে কি চোখে পড়ে? সংজ্ঞা সাদা-কালো—হয় সমস্ত রঙ সে রিফ্লেক্ট করবে নয় শুষে নেবে—দ্বিমত, অনিশ্চিতি, সংশয়, দ্বিধার বিপক্ষে এই অবস্থান—চিরকাল ভালো লাগে নাকী! ফলে, ক্ষণে ক্ষণে মনে মনে লাগুক না লিবার্টি! হোক নানা কথা, কিঞ্চিৎ আলাপ—সাগাপাধারাধাগাধা... তৎসমে কিছু কালোয়াতি— মনে রেখ, 'কল্মাষপাদ' (দৃশ্যমান বায়ু) গ্রন্থে ভবভূতি লিখিয়া গেছেন— ‘শূন্য কলসে, অনুস্বর উড়ে এসে বসে সমস্কিতে শব্দ হয় ঢক্কাং ঢক্কাং’ ১ বিশ্বাস : ভূত একটা বাস্তবিক ব্যাপার। যা কিছু সিদ্ধান্তের ফসল তাই বাস্তবিক। আমাকে কী হন্ট করবে এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলার পর ভূত নির্মিত হয়। তাকে অতীত বলে ডেকে ফেলল...