Posts

Showing posts with the label বিশ্বনাথ পুরকাইত

বিশ্বনাথ পুরকাইতের কবিতা নিয়ে দু-চার কথা

Image
  বিশ্বনাথ পুরকাইতের কবিতা নিয়ে দু-চার কথা প্রশান্ত হালদার বাংলা কবিতা কেমন আছে, এরকম একটা প্রশ্ন তুলে বর্তমান বাংলা ভাষার কবিতা-লেখকদের দিকে তাকানো যায় কিনা, কিম্বা মুকন্দরাম, ভারতচন্দ্র, মধুসূদন, রবীন্দ্রনাথ, সুধীন, জীবনানন্দ, সমর, সুভাষ, উৎপল, বিনয়, আল মাহমুদ, স্বদেশ, ভাস্কর, দেবারতি, জয়, মৃদুল, রণজিৎ, প্রসূন, রাহুল, সংযুক্তাদের কবিতা-পুষ্ট বাংলা ভাষায় যারা নব-সংযোজিত স্বর তাদের নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা করা যায় কিনা সেই ভাবনারই অংশ হিসেবে রচনাকালের শুরুয়াতকে মানদণ্ড ধরে গত শতাব্দীর ৯০ দশকের কবি বিশ্বনাথ পুরকাইতের কবিতা নিয়ে রইল দু-চার কথা।   বিশ্বনাথ পুরকাইত (জন্ম ১৯৬৪) বাংলা ভাষার পাঠকদের জন্য এযাবত প্রকাশ করেছেন ৬টি কবিতা গ্রন্থ। সংখ্যায় ৬টি হলেও, কলেবরে, সাকুল্যে সাড়ে-দশ ফর্মা মাত্র। বিশ্বনাথের প্রথম কাব্যগ্রন্থ নিম্নচাপের দিনগুলি (১৯৯৮) ৪৮ পৃষ্ঠার, দ্বিতীয় শান্তি শৃঙ্খলা (২০০৩) ৪৮ পৃষ্ঠার, খণ্ডচৈতন্য (২০০৬) ১৬ পৃষ্ঠার, ২০১৩ তে খণ্ডচৈতন্য-র পরিমার্জিত সংস্করণ সহ মিশ্রপ্রতিক্রিয়া মোট ৩২ পৃষ্ঠার, ২০১৮তে ২২ পৃষ্ঠার ভাষাবাহিত রোগশোক এবং ২০২২-এ ১৬ পৃষ্ঠার ঘটনাচক্র...

বি শ্ব না থ পু র কা ই তে র চারটি কবিতা

Image
বি শ্ব না থ   পু র কা ই ত ঘটনাচক্রে     ১। বাগানে এলে মানুষের রোগ-শোকের খেয়াল থাকে না; গাছেদেরই এত রোগ। ঐ ফলগাছগুলো গেল বছর উপচে পড়েছিল, এখন নিজেরাই মরা ডালের সিল্যুয়েট। নারকেল গাছটা বাঁজা। সার-বিষের অভাব রাখিনি, তবু কোথাকার পোকা এসে ফুলগাছগুলো ঝাঁঝরা করে দিল। এটা নতুন, জঙ্গুলে, সরে আসুন, মানুষের নিঃশ্বাস নাকি ওর পক্ষে তত ভালো নয়।   ২। নদী পারাপারের স্মৃতি বয়ে বেড়াতে হয়। মাতলা একরকম, কালিন্দী আর এক। রায়মঙ্গল পেরতে গিয়ে কেউ কেউ শুনি নৌকোর খোলে এখনও পেচ্ছাপ করে ভয়ে।  মাঝিরা কেমন? পুরনো মাঝিদের দু ’ একটা খেউড় লেগে আছে কানে।   ৩। স্পষ্ট না হলে কিছুই বুঝি না। কতবার ইঙ্গিতের উল্টোদিকে চলে গেছি, কল্পনাশক্তিও মাঝে মাঝে দম হারিয়ে ফেলে। সব প্রয়াসেই জিজ্ঞাসা মিশে থাকে। নিজেকে প্রশ্ন করে বুঝি উত্তর আমাকেই দিতে হবে। আরও সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন, সতর্কতাবোধও এক শিহরণ, স্বপ্নের মতন মোক্ষম সময়ে ভেঙে যায়   ৪। আমার সময় তোমার সময় মিলে আমাদের গড় সময়।  এসো এই মুহূর্তকে সন্ধ্যা বলে মেনে নিই; কালভার্টে পা ঝুলিয়ে বসি। দু ’ একটা শ...