Posts

প্রশান্ত হালদারের কবিতা—জন্মদিনে মদ খাও বন্ধুরা

Image
জন্মদিনে মদ খাও বন্ধুরা প্র শা ন্ত হা ল দা র সময় রেখেছি কেটে আগুনের পাশে দাহ্য কিনা বড় কথা নয়, বেলুনে বাতাস ভাসে রোদে প্রেম হয় দুজনার ম’রে। সখ্য হলে ভালো হতো কিনা তার চেয়ে ভাবনার—তুমি কি পড়ছো এই লেখা? ওপাড়ায় রাতে কি বসন্ত দেখা যায়? শ্রাবণের মাতাল খচ্চর আমি, ওলো হে সজনী তাকে কি আদর দেবে আজ দেবে কি শরীর পোড়া ছাই দেবে কি তোমার কালি—মুখ লুকোবার?   যত প্রেম, লুকোনোর ততোই বাহানা… দাও আরো গোপনতা, মদে বিষ, বরফের কুচি এ কেমন রসিকতা, মাংসে নেই আলু প্রেমে নেই দেহ প্রেমিক সন্দেহ মুছে গরম চুম্বনে প্রশ্নহীন করে তোলো ঠোঁট!— কবরের ফুল যেন—নির্দ্বিধায় অশরীরি ভেবে রেখে যাও আস্ত মাংসপিণ্ড   যদিবা চেঁচিয়ে উঠি লাশঘর থেকে বাংলা ভাষার কন্দরে যদি কোনো আর্তনাদ রেখে যেতে চাই— প্রেম নয়, হাহাকার নয় সবই যে ফাজিল ছিল, মাতলামি—বিশ্বাস হবে না তাও জেনো, আদুল শরীরে জোকস ছাড়া লিখিনি কিছুই। ভালোবাসা, রাজনীতি, দর্শনের ভার সাধারণ অশ্লীলতা ছেড়ে আরো নিচে তোমাকে খুঁজছি আমি, গুগুল ড্রাইভে…   ইথার তরঙ্গে ভাসে অস্তিত্ব কতটা মেপেজুকে হাঁটা যাক মনোরম ভোরে   মদ খাও জন্মদিনে বন্ধুরা আমার আসলাম, আপাতত, ভাসছে বাতাস ...

নতুন কবিতা। প্রশান্ত হালদার

Image
মনে হয় মৃত্যুর পক্ষ নিই। পাড়ায় মতান্তর। কান পাতলেই নিজের কতো অজানা দিক উঁকি মারে। এই ধ্যান, মগ্নতা— এর কোনো মূল্য নেই! কতো বার ভেবেছি, বলার কিচ্ছু ছিল না। এমনকি আর্তচিৎকারও অপ্রয়োজনীয় মনে হতো, বাধ সাধলো ভাষা। ঐতিহ্য বাতিলের পথ আগলে ধরে ভাষার করুণ হাত ফলে আমি ফিরতে চাইলাম, যে জীবন উদ্দেশ্য খোঁজার দায়ে বাতিল, তার কাছে তার রোমশ ভাবনার পাশে, মরে আছি; এই লেখালিখি, চায়ের দোকানে ভিড় জমানো, বাস্তবে না হলেও, কল্পনায় বেঁচে থাকার আতুর ঘোষণা এর কোনো ওঠাপড়া নেই, পক্ষ-বিপক্ষে যত শুনানি, চতুরতা, ধরো, বিফল যতবার মৃত্যুর পক্ষ নিই, ওরা আমাকে খুনীর মর্যাদা দেয়। এই ভাবে মৃতদের থেকে জগত আলাদা হচ্ছে, স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, দুনিয়াজোড়া যত স্মৃতিসৌধ, মৃতদের ছবি ও স্মরণোৎসব, গাল বেয়ে পড়া লোনা জল সবই একটা ফাঁকা আওয়াজ, শূন্যতায় এগোতে পারে না। এর মধ্যে কোনো আলো নেই, ফলে দৃশ্য অধরা  ১২ই জুলাই, ২০২০

পবিত্র সাঁফুইয়ের গল্প

Image
  প বি ত্র   সাঁ ফু ই নাক বরাবর সর্বসম্মতিক্রমে এগনোর প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু মনের ভিতর একটা খুঁতখুঁতানি। সরোজিনীর আপত্তি ছিল, "এগিয়ে যাওয়া ব্যাপারটা কী? ডানে, না বামে, কোনদিকে আমাদের গন্তব্য? পিছনের দিকের পথেও কি এগনো যায় না!" সমীরের যুক্তি, "পিছনের পথ তো চেনা। সে পথ তো আমরা ফেলে এসেছি।" সরোজিনী বলল, "কিন্তু, এগিয়েছি কি? তুমি কি নিশ্চিত যে পেছতে পেছতে এখানে আসোনি? এরকম পরিস্থিতিতে ফিরে যাওয়া এগিয়ে যাওয়ারই সমার্থক।" কেউই ফিরতে আগ্রহী নয়। গোপনে ভেবেছিলাম সরোজ ফিরে গেলে আমিও যাব। ও জেদাজেদি করেনি দেখে নিশ্চিন্ত হলাম। এরপর ডান-বাম নিয়ে আলোচনা চলল একপ্রস্থ।  কেউ কেউ ডানের সমর্থনে হাত তুলল, বামের হয়ে বলার মতো লোকেরও অভাব ছিল না। দুটোই বাতিল করতে হলো সঙ্ঘবদ্ধতার খাতিরে। অভ্যাসবশত নাক বরাবর যাওয়াই স্থির হলো। কেউই আর আনাচ-কানাচ, গলি-ঘুঁজি নিয়ে প্রশ্ন করার সাহস পেলো না। সর্বসম্মতি বিষয়টি আসলে সমবেত সমঝোতা, বোঝা গেলো। অজিতের মাথায় অন্যরকম জ্যামিতি, "আমরা তো কেউই নিজের নাকটা প্রায় দেখতে পাই না। নাক বরাবর যাচ্ছি বুঝব কী করে? তাছাড়া নাকের দিকে বেশী মনোযোগ দি...

তদোগেন গিরতের 'যে কথা মরমে বাজার নয়'

Image
  ত দো গে ন   গি র তে যে কথা মরমে বাজার নয়       লিখিয়ে ছোকরারা প্রায়ই দেখি বিপ্লব করছে। বিপ্লব কথাটা আমার সন্দেহজনক লাগে। বিপ্লব আমাকে নেনুয়ার কথা মনে পড়ায়। নেনুয়া বলেছিল — মাটন খা লুংগা, বীয়র পী লুংগা, ভ্যাঁস চোদ দুংগা ফির দীবার পে লিখ দুংগা — ক্রান্তি!!! ভ্যাঁসের কথা সম্পূর্ণত বাদ দিয়ে, ব্যক্তিগত বা সামাজিক ট্যাবু যদি নেনুয়া ভাঙতো তবে আহ্লাদ হত। তবে নেনুয়া সর্বভূক, সর্বপেয়ী এমনিতেই। ক্রান্তির প্রয়োজন ওর কেন হয়েছিল, সে ’ কথা জানি না। *** পঁচাত্তর আশির সুবেশ ভদ্রলোক পত্রিকার দপ্তরে সম্পাদককে বলেন — আমি অমুককে বলে রেখেছি, আমার গতমাসে বেরনো বইটার রিভিউ করবে, সামনের সংখ্যায় বের করে দিও কিন্তু। আমি তো ঘুরতে এসেছি, তেমন চিনিনা কিছুই। সম্পাদক, আমাকে বলেন, চেনতো ওনাকে?   — অবশ্যই, ৩-৪ মাস আগের আপনার লেখাটি খুব ভালো লেগেছিল। জৈষ্ঠ ইস্যু বোধ হয়। আশি, মানে কিছু না হলেও পঞ্চাশ বছর লিখছেন উনি। বইয়ের আলোচনা ছাপা হচ্ছে, রেগুলার, নিশ্চয়ই। আমি ওনাকে না চিনলে এর কতটুকু আর থাকে! উনি বেরিয়ে গেলে ধীর পায়ে, জিজ্ঞেস করার সাহস হয় না — কি নাম ওনার? ওই যে, বুকের কাছে হা...