Posts

Showing posts from 2023

অহনা সরকারের কবিতা

Image
  দৃশ্যের সপাৎ  অহনা সরকার সকাল থেকে উঠে আমার কাজ বসে থাকা, নিজের সামনে একটা আয়না রাখলে দেখা যেত ভোর তার বাক্যহীন চালচলন  আমার কি হয়েছে যে বুঝি না বেরিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে হাঁটছি হাঁটছি নীল আকাশ সাদা ধোঁয়া কালোয় কিছু পর পরই রাস্তায় চলছি ফাঁকা বা জনবিহ্বল চায়ের দোকান বসলামও একটু হয়তো বাস ছেড়ে দিয়েছে কি মনে হতে আমি বাসে সিট বসার নেই দরজায় দাঁড়িয়েছি  মানুষ আমাকে দেখছে, আমিও মানুষদের দুজনের দেখার ভাব আলাদা সম্পূর্ণ তারা কি আমার ভেতর দেখছে বা না জানি খুঁজছে আমি পাহাড় জঙ্গল চরিত্রের পাশ দিয়ে ঢুকে মাথা ভুরুর মাঝ সেখান থেকে দক্ষিণ কান্ড দেখছি ফোরহেড কোর্টেক্স মেমারি  এক জবার গাছ স্মৃতি চিহ্নের পাশে আ য় য় হ্ ছায়া ছায়া বেশ দেখে সেখানে বসেছি  জবার ডাল কাঁঠালের চারা সন্ধিক্ষণের মানুষজন এক চুটকি গন্ধ কিভাবে ঢুকে যেন এখন এই জবার নিচে সেও তার  রিক্সা সাইকেল গাড়ির হর্ণ রোদ  এখন আবার আমি বিছানায় সামনে আয়না নিজেকে দেখছি নিজের মাথার ভেতর ঢুকে ছায়া নয় প্রতিবিম্ব আমার চোখ মাথার ভিতর হয়ে কে ঠিক তাকানো কার দিকে কর্নিয়া অক্ষিগোলক প্রশয়ের চাবি   মানুষের মাথা  ...

অমিতাভ প্রহরাজ ঘুমোতে যাওয়ার পরে : প্রশান্ত হালদার

Image
  WB 43 0732 অ মি তা ভ  প্র হ রা জে র  চড়া, বলা ভালো, তাকে চড়ানো শেষ গাড়ির নম্বর এটাই। হাওড়া জেলা সংশোধনাগারের পিছনের দিকের মর্গ থেকে এই গাড়িতেই তাকে ২০টাকা টোটো ভাড়ার দূরত্বে শিবপুর শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হলো। গঙ্গায় তখন ভরা জোয়ার। বৃষ্টি এবং বৃষ্টি। দূরপাল্লার ট্রেনে যাতায়াত ব্যতীত জীবনে পঞ্চমবার হাওড়া জেলায় পা রাখলাম। গন্তব্য মর্গ থেকে শ্মশান। মর্গেও এই নিয়ে তৃতীয়বার। অমিতাভদার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত আলাপচারিতা ন্যুনতম। ফেসবুকে বন্ধুও ছিলাম না। শেষ দেখা বইমেলায়। আমাদের মুক্তাঞ্চলের নম্বরবিহীন টেবিলের উল্টোদিকে ধুলোমলিন বসছিল সুপ্রিয়দা তার 'তপোভাগ' বইটা হাতে ধরে। সম্ভবত শেষ দিন তার পাশে নিজের শেষতম বই 'লেখামো' নিয়ে বসে পড়লো অমিতাভ প্রহরাজ ওরফে বেবী। অংশু ওইদিন দুটো বইই নিয়েছিল। লেখামো আমরা যখন তখন পড়ব, এমনটাই ভাবনা ছিল। এই তো সেদিন কেমিক্যাল বায়োলজির ফটকের পাশে আমার মোবাইলের আলোয় অংশু পড়ছিল আনচ্যালেঞ্জেবল সব চিন্তা-বাক্য-খণ্ড, লেখামো থেকেই। সেই ২০০৪-০৫ থেকে অমিতাভ প্রহরাজের নাম জানি। পড়ি তার চিন্তাভাবনা, বাক্যবিন্যাস। তবু কী এক প্রবণতায় জানি না, তার সঙ্গে আমার সেভাবে আলাপ ...

মৌনী মন্ডলের কবিতা

Image
  শিমূলডিহির পৃথিবীতে মৌনী মন্ডল নন ন্যারেটিভ কোনো চালাকি নয়। আমি দু একজনের নাম বলবো তাতেই হয়ে যাবে। এখন যার কথা বলবো আমি নিজেও তার নাম জানতাম না কিছুদিন আগে পর্যন্ত এটা বিস্ময়কর নয় ততটাই সহজ যতটা ফাকার শুধু একটা শব্দ নয়, তাই ফাক আর নাম না করেও বলা যায় মুডের পৃথিবীতে সব তোমারই যদিও তোমাকে এখন যার কথা বলবো, তখনই বলবো যখন তুমি তোমার চোখ খুলে রাখবে, তারপর ভাববে যখন তুমি কিছুই ভাবতে পারবে না কান বন্ধ করে তখন কী করবে যখন তোমার নামে তোমারই সম্পত্তি জিভের জন্য লিখে দেওয়া হবে তখন কোথায় খুঁজবে তুমি তাকে আর তার প্যান্ট, নিজের নিশ্বাসের নীচে নাথing এভাবেও তুলে ধরা যায় তুমি নিশ্চই জানবে মানুষের কথা — মামুশ খামুশ উউউউউউউ আকা চাচা লিখলে আমার চোখই প্রথম উচ্চারণ করে কারণ আমি জানি ওটা দুটো স্পেস বেশি দিলে এইখানে যে ফাঁক সেটাই তোমার ভাষা কেনো না তোমার কোনো ভাষা ছিল না, ছিল প্রথম যাকে আমরা কান্না বলি তার আওয়াজ বাদবাকি ভাষা সিস্টেম অতএব সবসময়ই বানানো কিংবা বাতিল শব্দগুলো নাচে আর মাতৃভাষাকেও আমি পুঁছতাম না যদি তার থেকে প্লাজমা, পদার্থের চতুর্থ অবস্থা বাদ পড়ে যেত তবে এভাবেও আমরা আর ভাষার ন্যাচা...